COID এর শিক্ষকদের লিভ পলিসিতে (ছুটির নীতিমালায়) কিছু সংযোজন করা হয়েছে। তা খুব শীঘ্রই আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
# যদিও সম্পূর্ণ নীতিমালা আপনাদেরকে দেওয়া হবে, তবে কমিটির কিছু বিশেষ নির্দেশাবলীর দিকে আমি সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই –
*** মাতৃত্বকালীন ছুটি: সবেতনে সর্বোচ্চ ২ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা হবে। শিক্ষিকা সন্তান জন্মদান এর পূর্বে যেকোনো সময় এই ছুটি নিতে পারবেন। সবেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটি ২ মাস এর বেশি নেয়া যাবে না। পরবর্তীতে বিনা বেতনে আরো ৪ মাস ছুটি নেয়া যেতে পারে এবং ৬ মাস ছুটির পরে যথাসময়ে বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে উক্ত শিক্ষকের পদ শূন্য বলে ধরে নেয়া হবে ।
মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন অবশ্যই সন্তান জন্মদানের সম্ভাব্য তারিখের ৩ মাস পূর্বে অফিস এ জমা দিতে হবে, এবং ছুটিতে যাওয়ার তারিখ সন্তান জন্মদানের তারিখের ১ মাস পূর্বেই অফিসকে জানিয়ে দিতে হবে।
উপরোক্ত নিয়ম জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে, সে অনুযায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মাতৃত্বকালীন ছুটির ক্ষেত্রে – সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনপূর্বক কমিটি ছুটি মন্জুর করবে। **তবে “সবেতন” মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়ার জন্য যেকোনো কর্মীকে কো-ইড (COID) সংস্থায় অন্তত এক বছর কর্মরত থাকতে হবে। অন্যথায় উক্ত ছুটিসমূহ সবেতন হবেনা। অর্থাৎ উক্ত ছুটিকালীন সময়ে কোনো বেতন প্রদান করা হবেনা।**
*** শিক্ষা ছুটির ক্ষেত্রে, শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার ন্যূনতম তিন দিন আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। প্রধান শিক্ষক একই দিনে আবেদনকারীকে জবাব দেবেন এবং প্রধান শিক্ষক সেই একই দিনে অফিসে উক্ত ছুটির ব্যাপারে অবহিত করবেন (এসএমএস এর মাধ্যমে)।
***এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, শিক্ষা ছুটির ক্ষেত্রে – সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনপূর্বক কমিটি ছুটি মন্জুর করবে। তবে “সবেতন” শিক্ষা ছুটি পাওয়ার জন্য যেকোনো কর্মীকে কো-ইড (COID) সংস্থায় অন্তত এক বছর কর্মরত থাকতে হবে। অন্যথায় উক্ত ছুটিসমূহ সবেতন হবেনা। অর্থাৎ উক্ত ছুটিকালীন সময়ে কোনো বেতন প্রদান করা হবেনা।***
***** অসুস্থতা জনিত ছুটির আবেদন পদ্ধতি**: সাধারণ নিয়ম হিসাবে শিক্ষকদের স্কুল শুরু হওয়ার পনেরো মিনিট আগে অর্থাৎ সকাল ৮.৪৫ মিনিটের মধ্যে স্কুলে উপস্থিত হতে হবে। অসুস্থতার কারণে ছুটির আবেদন করার ক্ষেত্রে ছুটি নেয়ার দিন সকাল ৭.৩০ ঘটিকার পূর্বে (অসুস্থতা ব্যতিত অন্য কারণের জন্য হলে ১ দিন পূর্বে) প্রধান শিক্ষক কে এসএমএস এর মাধ্যমে জানাতে হবে। ছুটি মনজুর হলে প্রধান শিক্ষক সকাল ৮.০০ ঘটিকার মধ্যে উক্ত শিক্ষককে সেটি নিশ্চিত করবেন।
অফিস কে এই ছুটির ব্যাপারে তাৎক্ষণিক জানাতে হবে এবং অফিস সেই দিনই উক্ত ছুটি কে ওই শিক্ষকের পূর্ববর্তী ছুটির সাথে যোগ করে তাকে এসএমএস করে জানিয়ে দিবে যে তার আর কয়দিন সবেতন ছুটি পাওনা আছে। । কোনো কারণবশত প্রধান শিক্ষক কে যোগাযোগ করা না গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক উপরোক্ত কাজটি সম্পাদন করবেন।
***কোনো কারণে নিজের ফোন থেকে যোগাযোগ করতে না পারলে অথবা নিজে যোগাযোগ করতে না পারলে, পরিবারের অন্য কারো ফোন ব্যবহার করে অথবা অন্য কাউকে দিয়ে ফোন করিয়ে হেডমাস্টারকে/অফিস কে অবশ্যই জানাতে হবে। পরবর্তীতে কোনো অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।***
তারপর প্রধান শিক্ষক **সকাল ৮.৫৫ মিনিটের মধ্যেই **তার শিক্ষকদের মাঝে কয়জন অনুপস্থিত তা তার স্কুল ইন্সপেক্টরকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানাবেন অথবা *সকলেই উপস্থিত থাকলে “কেউ অনুপস্থিত নেই”- এটি এসএমএস এর মাধ্যমে তার স্কুল ইন্সপেক্টরকে জানিয়ে দিবেন।* যদি প্রধান শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসএমএস করে না জানান,তবে ইন্সপেক্টররা তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান করবেন, প্রথমে ফোনে, তারপর স্কুল পরিদর্শনের মাধ্যমে। *যদি কোনো কারণে প্রধান শিক্ষক এসএমএস পাঠাতে না পারেন, তাহলে তার দায়িত্ব হচ্ছে অন্য কাউকে দিয়ে এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা করা। এটি প্রধান শিক্ষকেরই দায়িত্ব এবং তাকেই নিশ্চিত করতে হবে যে সঠিকভাবে ও সঠিকসময়ে এসএমএস পাঠিয়ে অফিসকে অবহিত করা হয়েছে কিনা।* **বিনা নোটিশে এবং বিনা অনুমতিতে কোনো শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে, প্রধান শিক্ষককে ৩ (তিন) হাজার টাকা জরিমানা এবং অনুপস্থিত শিক্ষককেও ৩ (তিন) হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।**
*** ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর, তার পরবর্তী দুই সপ্তাহ স্কুলগুলো প্রতিদিন দুপুর দুইটায় বন্ধ করা যেতে পারে। **এ সময় ভর্তি কার্যক্রম চালানোর জন্য স্কুল খোলা থাকবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ সময় ২ জন শিক্ষক স্কুলে থাকবেন এবং ২ জন শিক্ষক হোম ভিজিটে যাবেন। এটি পালাক্রমে চলতে থাকবে। **কোন ২ জন শিক্ষক স্কুলে থাকবেন এবং কোন ২ জন হোম ভিজিটে যাবেন এটি প্রধান শিক্ষক নির্ধারণ করে দিবেন।